নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
ফেনীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় হাইওয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, আটক ১

ফেনীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় হাইওয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, আটক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফেনীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক চালককে নোয়াখালীর সেনবাগ এলাকা থেকে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার মধ্যম রামপুর এলাকায় ঢাকামুখী লেনে ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি টহল দল পিকআপ ভ্যান (ঢাকা-মেট্রো-ঠ-১৪-৩৫৬২) নিয়ে মহসড়কে যানজট নিরসন ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলো।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান পুলিশের পিকআপ ভ্যানটিকে পেছন থেকে সাজোরে ধাক্কা দেয়। এতে কনস্টেবল মোতাহের হোসেন (২৫) টহল গাড়ি থেকে নিচে পড়ে যায় ও কনস্টেবল আসাদুল ইসলাম (২৫) নামে অপর পুলিশ কনস্টেবল টহল গাড়িতে থাকা অবস্থায় উভয়েই গুরুতর আহত হয়। সেইসঙ্গে পুলিশের পিকআপ ভ্যানের পেছনের অংশ দুমড়ে-মুছড়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

পরে মুমূর্ষ অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কনস্টেবল মোতাহের হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। কনস্টেবল আসাদুল ইসলাম ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি উল্টে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে কাভার্ড ভ্যানটিকে আটক করে। তবে কাভার্ড ভ্যানের চালক ঘটনার পরপরই আত্মগোপন করে। উক্ত ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেট্রিক মিডিয়াসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর ট্রাক ড্রাইভার মোঃ জাফর উদ্দিন (৩২) ঘটনাস্থল হতে তার হেলপার জয়কে(১৪) নিয়ে পলায়ন করে। কাভার্ড ভ্যানটি উল্টে যাওয়ার সময় হেলপার জয় আঘাতপ্রাপ্ত হলে চালক জাফর উদ্দিন তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

অতঃপর, হেলপারকে চিকিৎসারত অবস্থায় রেখে সে আত্মগোপন করে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত ট্রাক ড্রাইভারকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী চালায়। *র‌্যাব-৭, আটককৃত কাভার্ড ভ্যানটি তল্লাশি করে কাভার্ডভ্যানের কেবিন থেকে দুই পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধার করে।* নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার মোঃ জাফর উদ্দিন (৩২) নোয়াখালীর সেনবাগ থানার দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের জনৈক নাসির আহমেদ এর ছেলে জুয়েল এর বসত ঘরে আত্নগোপন করে আছে।

মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ফেনী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকা হতে ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার মোঃ জাফর উদ্দিন (৩২), পিতা- মোঃ সাহাব উদ্দিন, মাতা- আফরোজা বেগম, সাং-রাজারামপুর, পোঃ অঃ সেবারহাট, থানা- সেনবাগ, নোয়াখালী’কে আটক করে।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘাতক মেসার্স তারেক ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্রেডিং এজেন্সি, কভার্ডভ্যান নাম্বার- ঢাকা মেট্রো-ট- ২০-০৭২৯ এর চালক ছিল বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত ড্রাইভার মোঃ জাফর উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও নিম্নেবর্ণিত তথ্যাবলী পাওয়া যায়ঃ

কাভার্ড ভ্যানটির ড্রাইভার মোঃ জাফর উদ্দিন ২০১৪ সাল থেকে দীর্ঘ ০৮ বছর যাবৎ কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত থাকলেও তার গাড়ি চালনার কোন লাইসেন্স নেই। সে ২০১৯ সালে হালকা গাড়িচালনার লাইসেন্সের জন্য দালাল দিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত লার্নার লাইসেন্স দিয়ে হাইওয়েতে ভারী যানবাহন চালনা করে আসছেন।

এখানে উল্লেখ্য যে ২০১৪ সাল থেকে মোঃ জাফর উদ্দিন সিলেট বগুড়া কক্সবাজার টেকনাফ ও সর্বশেষ ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে ভারী গাড়ির চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

কাভার্ডভ্যানের চালক মোঃ জাফর উদ্দিনকে ডোপ টেস্ট করা হলে তা পজেটিভ পাওয়া যায়। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, দুর্ঘটনার সময় সে নেশাগ্রস্ত ছিল।

এখানে লক্ষনীয় যে, উক্ত গাড়িতে ড্রাইভার ও হেলপার ছিল এবং গাড়িটি অত্যন্ত বেপরোয়া গতি এবং নিয়ন্ত্রণহীন ছিল।

তাছাড়াও, দূর্ঘটনার সময় হাইওয়ে টহল গাড়ির হুডার লাইট, পুলিশী পোশাক, রিফ্লেক্টিং ভেস্ট, সোল্ডার লাইট থাকার পরও এই দুর্ঘটনাটি হয়।

উদ্বেগজনক বিষয় এই যে, দীর্ঘ আট বছর যাবত এই চালক বিনা লাইসেন্সে শুধুমাত্র লার্নার লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি হাইওয়েতে চালিয়ে আসছে।
সড়কপথে ড্রাইভারদের এই ধরনের অসর্তকতামূলক, অনভিজ্ঞতাপ্রেত, অবহেলিত ও খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণ প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ।

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে লাইসেন্স ব্যতীত ড্রাইভার দিয়ে ভারী যানবাহন চালিয়ে এই ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য গাড়ির মালিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com